শিম এর উপকারিতা

 


শীতকালীন একটি সবজি শিম।আমরা সবাই এটি কম বেশি পছন্দ করি। বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকাতেই শিমের চাষ হয়।
শিমের মধ্যে প্রোটিন, জটিল শর্করা, ফোলেট এবং আয়রন বেশি থাকে।[২] শিমেও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার (তন্তু, আঁশ) এবং দ্রবণীয় ফাইবার থাকে।

প্রতি ১০০ গ্রাম শিমের পুষ্টি গুণঃ

 ৮৬ দশমিক ১ গ্রাম জলীয় অংশ আছে। এতে খনিজ উপাদান রয়েছে শূন্য দশমিক ৯ গ্রাম, আঁশ ১ দশমিক ৮ গ্রাম ও ক্যালোরি বা খাদ্যশক্তি রয়েছে ৪৮ কিলো ক্যালোরি। এছাড়াও শিমে ৩ দশমিক ৮ গ্রাম প্রোটিন, ৬ দশমিক ৭ গ্রাম শর্করা, ২১০ মি.গ্রাম ক্যালসিয়াম ও ১ দশমিক ৭ মি.গ্রাম লৌহ পাওয়া যায়। এসব উপাদান ছাড়াও শিম জিঙ্ক, ভিটামিন সি ও নানা রকম খনিজ উপাদানে সমৃদ্ধ ।নিচে শিমের ১০ উপকারিতা জেনে নিনঃ- 

উপকারিতাঃ ১.গর্ভবতী মহিলা ও শিশুর অপুষ্টি দূর করতে শিম বেশ উপকারী।

২. শিম চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

৩. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।

৪.নিয়মিত শিম খেলে তা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

৫.শিমে সিলিকনজাতীয় উপাদান থাকে যা হাড় সুগঠিত করে।

৬.কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ও শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে শিম সাহায্য করে।

৭.নিয়মিত শিম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে আসে।

৮.শিমের দানায় ভিটামিন বি৬ ভালো পরিমাণে থাকায় তা স্নায়ুতন্ত্র সুস্থ রাখে ফলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

ঠান্ডা, সর্দি-কাশির উপশমে কী খাবেন

শীতকালের রোগব্যাধি ও প্রতিকার

কচু শাকের স্বাস্থ কথা