অমিক্রন,ডেল্টাক্রন ও ফ্লুরোনা কি? এতে আমাদের করনীয় ও বর্জনীয়।
শীতের এই সময়টাতে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশেও হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ বেশি দেখা দিচ্ছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির এই সময়ে ওমিক্রন, ডেল্টাক্রন, ফ্লুরোনার মতো কিছু নাম শোনা যাচ্ছে। তবে এগুলো করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট কি না এ নিয়ে যথেষ্ট তর্ক বিতর্ক আছে।
করোনার বিভিন্ন ধরন নিয়ে নানা গবেষণা চলমান রয়েছে। অনেকের ধারণা, করোনা দুর্বল হয়ে ওমিক্রনের মাধ্যমেই পৃথিবী থেকে বিদায় নেবে। কিছু গবেষণা বলেছে, ওমিক্রন সংক্রমণ হলে ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে। তবে করোনা ভাইরাসের গতিবিধির কথা সঠিক ভাবে বলা খুবই মুশকিল।
ওমিক্রন
বিজ্ঞানীগন জানিয়েছেন, ওমিক্রন একটি নতুন ভ্যারিয়েন্ট। সাধারণ ফ্লু ও ওমিক্রনের উপসর্গ অনেকটাই এক রকম। নাক দিয়ে পানি পড়া, ঠাণ্ডা লাগা, গলায় ব্যথা, হাঁচি-কাশি হলো সাধারণ ফ্লুর লক্ষণ। তবে ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে জ্বর, গলা ব্যথা, শুকনো কফ, জ্বর, সর্দি, শরীরে ব্যথা, খুসখুসে কাশি থেকে শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ইত্যাদি উপসর্গ বেশি দেখা দেয়।
তবে আশার কথা হলো, ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির প্রবণতা অথবা মৃত্যুর ঝুঁকি ডেল্টার চেয়েও এখন পর্যন্ত কম। তবে এর মানে এই নয় যে ওমিক্রন কোনো দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা তৈরি করবে না। যেকোনো মুহূর্তে এটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করতেই পারে। এ জন্য সচেতন থাকা উচিৎ এবং সচেতন থাকতে হবে।
ফ্লুরোনা
কারোর যদি একই সঙ্গে সাধারণ ফ্লু ও করোনা এই দুইয়ের উপসর্গ থাকে তাহলে তাকে বলা হচ্ছে ফ্লুরোনা।
এর লক্ষণগুলো হলো
১.জ্বর।
২.কাশি।
৩. ক্লান্তি।
৪.সর্দি।
৫.গলা ব্যথা ইত্যাদি।
তবে এটি করোনাভাইরাসের নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট বা রূপ নয়। একে অনেকে ডাবল সংক্রমণও বলছেন।
ডেল্টাক্রন
সম্প্রতি সাইপ্রাসে মিলেছে ডেল্টাক্রন।
বলা হচ্ছে, করোনার আগের দুই স্ট্রেইন ডেল্টা ও ওমিক্রন মিলিয়ে নতুন এই স্ট্রেইন। অর্থাৎ ওমিক্রন ও ডেল্টার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে। তবে এ নিয়ে যথেষ্ট তর্ক বিতর্ক আছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি আসলে কোনো স্ট্রেইন নয় এবং একে নিয়ে এখনই ঘাবড়ে যাওয়ার মতো কিছু নেই।
কিছু বিজ্ঞানীর মতামত, ওমিক্রনের পরই এত দ্রুত আরো একটি ভ্যারিয়েন্ট আসার কথা নয়। হতে পারে, এটি দুটি রূপের মিশ্রণ।কিন্তু কোনো ধরন নয়। গবেষণার ফলাফল পেতে আরো অপেক্ষা করতে হবে।
করণীয়
ভ্যারিয়েন্ট বা ধরন আর যাই হোক না কেন,
করোনা সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে পারাটাই আসল কথা। এ জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা প্রদত্ত করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।
যেমনঃ
১.মাস্ক অশ্যই ব্যবহার করবেন।
২.দূরত্ব বজায় রাখবেন।
৩.সাবান দিয়ে হাত ধুবেন।
৪.হাঁচি-কাশি থেকে দূরে থাকবেন।
৫.বয়োবৃদ্ধ ও শিশুদের অতিরিক্ত যত্ন নিবেন।
৬.সুষম ও পুষ্টিকর খাবার খাবেন।
৭.অসুস্থ হলে বিশ্রাম নিবেন।
৮.প্রয়োজনে পরিক্ষা নীরিক্ষা করাবেন।
৯.নিয়ম মেনে টিকা নিবেন।
যা করা যাবে না
১.আবদ্ধ রুমে মিটিং করা কমিয়ে দিন।
২.বাসা বাড়ির দরজা-জানালা সারাক্ষণ বন্ধ রাখা যাবে না।
৩.লিফটের বাটন, দরজার হাতল সরাসরি আঙুল বা হাত দিয়ে ধরা যাবে না। ভাইরাস ছাড়াও এসব জায়গায় প্রচুর জীবাণু থাকে।
আমরা মেনে চলার চেস্টা করবো,ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন