খিছুড়ির স্বাস্থ্য উপকারিকাতা
জেনে নেওয়া যাক খিচুড়ির পুষ্টিগুণ।
চটজলদি ঘরে থাকা জিনিসেই বানিয়ে নিতে পারেন এমন সুস্বাদু খিচুড়ি
চটজলদি ঘরে থাকা জিনিসেই বানিয়ে নিতে পারেন এমন সুস্বাদু খিছুড়ি।
১.খিচুড়িতে থাকে ভাতের শর্করা, ডালের প্রোটিন আর সবজির ভিটামিন। তাই সুষম পুষ্টিতে অনন্য এ খাবার।
২.খিচুড়িতে ব্যবহৃত ডাল, যেমন মুগ বা মসুর বা ছোলা ফাইবারের ভালো উৎস। এতে ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, তামা, পটাশিয়ামসহ উপকারী অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে। ডাল প্রোটিনের চাহিদা মেটানোসহ হজমে সহায়তা করে।
৩. খিচুড়িতে একই সঙ্গে শর্করা, ক্যালসিয়াম, আমিষ, ভিটামিনসহ অন্য বেশ কয়েকটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় একে শক্তিবর্ধক ও স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মুচমুচে সবজি আর বিন্নি চালের নরম খিচুড়ি
মুচমুচে সবজি আর বিন্নি চালের নরম খিচুড়িছবি: প্রথম আলো
৪.খিচুড়ি প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের সমতা রক্ষা করে। এ জন্যই পরিপূর্ণ আহার বলা হয়। খিচুড়িতে যেহেতু ডাল থাকে, তাই এ ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য–আঁশ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড। কম খরচে সব বয়সের, সব মানুষের ভালো মানের খাবার বলতে এককথায় খিচুড়ি
৫.খিচুড়ি বেশ সহজপাচ্য। তাই অল্প সময়েই শরীরের দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তি জোগায়। ছয় মাসের শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ—সবাই খেতে পারে খিচুড়ি।
৬.মুগ ডালের খিচুড়ি রক্তের শর্করার মাত্রা হ্রাস করতে ও ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
৭.প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট থাকায় খিচুড়ি বদহজম, ডায়রিয়া, অ্যাসিডিটিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য আদর্শ খাবার। এ ছাড়া সার্জারি, সংক্রমণ বা জ্বর থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য খিচুড়ি খুব ভালো। অসুস্থ রোগীদের জন্য এটি সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন