নিম্ন রক্তচাপ এর লক্ষণ ও করনীয়
নিম্ন রক্তচাপ এর লক্ষণ ও করনীয়।
কিছু লক্ষণ থেকে আমরা খুব সহজেই লো ব্লাড প্রেসার আক্রান্ত কি না তা বুজতে পারি। সঠিক সময়ে রোগ চিহ্নিত হলে নিরাময় অনেক সহজ হয়। চলুন এবার লক্ষণগুলো জেনে নেই!
লক্ষণঃ
১. মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভূত হওয়া।
২. বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে হঠাৎ মাথা ঘুরে যাওয়া বা ভারসাম্যহীন হয়ে যাওয়া।
৩. মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
৪. চোখে অন্ধকার বা ঝাপসা দেখা।
৫. শারীরিক বা মানসিক অবসাদ।
৬. খুব বেশী তৃষ্ণা অনুভূত হওয়া।
৭. ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া।
৮. হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।
৯. প্রস্রাব কমে যাওয়া।
১০. অস্বাভাবিক দ্রুত হৃদ কম্পন হওয়া
তাৎক্ষণিক করণীয়:
প্রেশার কমে গেলে দুশ্চিন্তা না করে প্রেসার মেপে, নিয়মগুলো অনুসরণ করলে তাৎক্ষণিক এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।
প্রেসার অতিরিক্ত কমে গেলে হাস্পাতালে নিতে হিবে।খাবার স্যালাইন অথবা গ্লুকোজ গ্রহণ করতে হবে।এতে,নিম্ন রক্তচাপ দ্রুত সেরে যাবে।
পরবর্তীতে এই খাবার গুলো চালিয়ে যেতে হবেঃ
১.দুধ ও ডিমঃ
দুধ ও ডিমসহ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। মুরগীর চেয়ে হাঁসের ডিম এক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী।
২.কিশমিশঃ
কিশমিশ রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এক কাপ পানিতে ৩০/৪০টা কিশমিশ সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন খালি পেটে খেতে হবে। কিছুদিন নিয়মিত খেলে লো প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।
৩.মধু ও বাদামঃ
মধু ও বাদাম বেশ কার্যকর ভুমিকা পালন করে। মধু বাদামের সাথে মিশিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন কাঠবাদাম ও চিনাবাদাম খেতে পারেন।
৪.ব্যায়ামঃ
প্রেশার স্বাভাবিক রাখতে ব্যায়াম বেশ কার্যকর। ব্যায়াম হার্টে রক্ত চলাচল নিয়মিত করে। লো প্রেশার দেখা দিলে খাবার খাওয়ার সাথে সাথে শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।
৫. তাজা শাক-সবজিঃ
নিম্ন রক্তচাপ রোধে শাক-সবজি অনেক উপকারী। কারণ ভিটামিন ও মিনারেল ঘাটতির জন্য হতে পারে। ফলিক এসিড ব্লাড প্রেশার বৃদ্ধি করে। শাক সবজি প্রচুর ফলিক এসিড থাকে।
সবশেষে কিছু টিপস দিচ্ছিঃ
যেসব ওষুধ খেলে রক্তচাপ কমে সেসব ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। এসময় পর্যাপ্ত পানি পান করুন। তাছাড়া অনেকক্ষণ শুয়ে বা বসে থাকার পর উঠার সময় সাবধানে বা ধীরে ধীরে উঠতে হবে। এর সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। ঘরে বসেই এই সমস্যা থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। উপসর্গ অনুযায়ী এর চিকিৎসার প্রয়োজন পরে। যাদের দীর্ঘমেয়াদি এই সমস্যা আছে তাদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন