ব্রণের সমস্যা ও করনীয়
ব্রণ কেনো হয় ও এর প্রতিকারঃ
কৈশোর ও তারুণ্যে ছেলেমেয়েদের অনেকেরই ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়। এতে কারও কারও ত্বকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয়ে যায়। তবে ছেলেদের ব্রণের ধরন মেয়েদের চেয়ে ভিন্ন।
ব্রণ কিঃ
ব্রণ মূলত টিনএজ বা উঠতি বয়সের ত্বকের সমস্যা। এ সময় শরীরে হরমোনের কারণে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে, সঙ্গে ত্বকও পরিবর্তিত হয়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই ব্রণের সমস্যা হয়ে থাকে। ছেলেদের ত্বকে ব্রণের তীব্রতা একটু বেশি হয়। কারও কারও টিনএজ বয়স পেরিয়ে গেলেও
এ সমস্যা অনেক দিন থেকে যায়।
কারণঃ
১.বাইরের ধুলাবালু ত্বকে জমে লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। এতে ব্রণের সৃষ্টি হয়।
২.অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার ও ভাজাপোড়া খেলে।
৩.পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা।
৪.স্ট্রেস,যেমন অতিরিক্ত প্ররিশ্রম
৫.পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়ার
৬.কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে।
৭.মানহীন ও ক্ষতিকারক প্রসাধনী ব্যবহার।
৮.ত্বকের কোনো সংক্রমণ ও অতিরিক্ত খুশকি।
৯.ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায় এবং ব্রণ দেখা দেয়।
করনীয়ঃ
উঠতি বয়সে ব্রণ হতেই পারে। তাই চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তবে,
১.কোনোভাবেই ব্রণে হাত দেওয়া যাবে না। খোঁটাখুঁটির কারণে ব্রণ থেকে ত্বকে সংক্রমণ বাড়ে। অধিকাংশ সময় ব্রণ এমনিতেই সেরে যায়।
২.ব্রণের ওপর তেল বা তেলজাতীয় কোনো প্রসাধনী লাগানো যাবে না।
৩.মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে সকালে ও বাইরে থেকে ফিরে আসার পর ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে।
৪.ব্রণ কমাতে ওষুধ ও মেডিকেটেড ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যায়।
৫.ব্রণযুক্ত ত্বক শেভ না করাই ভালো। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।
৬.দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুতে হবে। ফলে তৈলাক্ত ভাব যেমন কমবে, তেমনি ধুলাময়লাও জমবে না।
৭.পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে এবং প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি খেতে হবে।
৮.ভাজাপোড়া খাবার কম খেতে হবে। রাত জাগা, চা-কফি বেশি খাওয়া উচিত নয়। রোদে বেরোলে ত্বকের ধরন বুঝে সানব্লক ব্যবহার করতে হবে।চুলে সাবধানে তেল দিতে হবে যাতে মুখে না লাগে।
৯.যদি ফাংগাল ব্রণ হয়, তবে যেসব খাবারে ইস্ট আছে যেমন বার্গার, পিৎজা, পেটিস—এগুলো বাদ দিতে হবে।
১০.পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে।
১১.পায়খানা কসা থাকতে পারবে না।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন