পোস্টগুলি

ঠান্ডা, সর্দি-কাশির উপশমে কী খাবেন

ছবি
            ঠান্ডা, সর্দি-কাশির উপশমে কী খাবেন  ঋতু পরিবর্তনে অসুস্থ হওয়াটা স্বাভাবিক। শীতের এ সময় দেশে ঘরে ঘরে হাঁচি, সর্দি-কাশি, ফ্লু, বন্ধ নাক ইত্যাদি নানা রকমের সমস্যা দেখা দেয়। ঠান্ডার কারণে গরম পানির ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে। তবে গরম পানির সঙ্গে কিছু খাবার যুক্ত করলে পুষ্টি উপাদান যেমন বাড়ে, তেমনি ইমিউনিটি সিস্টেম বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতাকে বাড়াতে সহায়তা করে। এমনই কিছু খাবার সম্পর্কে জানা যাক।  স্যুপ জ্বর, সর্দি-কাশিতে গরম স্যুপ খুবই আরামদায়ক। ঠান্ডা লাগলে বা সর্দি–কাশি হলে মুখের স্বাদও চলে যায়। স্বাদ ফেরাতে গোলমরিচ যুক্ত করে সবজি বা চিকেন স্যুপের চেয়ে আরামদায়ক খাবার আর কী হতে পারে। গরম স্যুপ মিউকাস কমাতেও সাহায্য করে। পরিবারের শিশু বা বয়স্ক যাঁরা ঠান্ডায় কিছুই খেতে চান না, তাঁদের জন্য গরম স্যুপ হতে পারে পুষ্টির উৎস। কালিজিরা ও রসুনভর্তা কালিজিরা ও রসুন ধুয়ে-শুকিয়ে তাওয়ায় অল্প আঁচে টেলে নিন। এরপর বেটে বা ব্লেন্ড করে শর্ষের তেল ও লবণ মেখে গরম ভাতের সঙ্গে খেলে বন্ধ নাক না খুলে উপায় নেই। এ ছাড়া সর্দি-কাশিতে আরাম পেতে ও ভেতর থেকে রোগ প্রতি...

শীতকালের রোগব্যাধি ও প্রতিকার

ছবি
  বাংলাদেশে শীত মৌসুম উকি দিচ্ছে । রাজধানীতে  শীতভাব ততটা অনুভূত না হলেও, গ্রাম-গঞ্জ গুলোতে বেশ ঠান্ডাপরে। গরমের তুলনায় শীত আরামদায়ক হলেও এ সময়ে বেশ কিছু  রোগব্যাধি দেখা দেয়। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধদের জন্য এই সময়টা বেশ অসস্তি তৈরি করে। শীতকালীন  সমস্যা ও এর সমাধান শীতের এই সময়টায় ঠাণ্ডাজনিত সমস্যাগুলোই বেশি দেখা যায়। যেমন কাশি, অ্যাজমার প্রকোপ বেড়ে যাওয়া, সাময়িক জ্বর, কোল্ড অ্যালার্জি হয়ে থাকে। এ সময় বাতাসে ধুলাবালি বেশি থাকায় অনেকে অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা দেখা যায়। ''বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষদের কাশি, কোল্ড অ্যালার্জির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঠিক সময়ে সনাক্ত করা না গেলে সেটা অনেক সময় নিউমোনিয়াতেও রূপ নিতে পারে।'' ঠাণ্ডার কারণে অনেকের টনসিল বেড়ে গিয়ে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। তাই মশার কামড়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কাঁপুনি দিয়ে উচ্চ তাপ  ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া ও ডেঙ্গু শীতকালে মশাবাহিত ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, ডেঙ্গু রোগ সহ নানা ভাইরাস জ্বরের রোগের প্রকোপ দেখা যায়। এ সময় অনেক স্থানে মশার প্রকোপও বাড়ে। ডেঙ্গ...

গরমে করণীয়

ছবি
  গরম পড়া শুরু হয়েছে। এ সময় শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি ঘাম দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে অস্বস্তি, ক্লান্তি,দুর্বলতার মত একাধিক লক্ষণ দেখা দেয়। তাই শরীর হাইড্রেটেড রাখতে আপনাকে খেতে হবে প্রচুর পরিমানে পানি ও পানিযুক্ত খাবার। পানি পূর্ণবয়স্ক একজন নারীর দিনে অন্তত ২.৫-৩ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন । পূর্ণবয়স্ক একজন পুরুষের ৩-৩.৫ লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। তবে কিডনি রোগীদের অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করেই পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। গরমে লেবু বা ফলের শরবত খাওয়া খুবই উপকারী। ডাবের পানিও খুব দারুণ কার্যকর। এসব পানীয় খুব সহজেই শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করবে। ডাবের পানি ও ফলের শরবত খেলে পানির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খনিজ লবণের চাহিদাও পূরণ হবে। সবজি কাঁচা পেঁপে, পটল, ধুন্দল, শসা, চিচিঙ্গা, গাজর, লাউ, পেঁপে, পালংশাক, টমেটো, শসায় পানির পরিমাণ বেশি থাকে। পানিশূন্যতা দূর করতে এই খাবারগুলো অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখার চেষ্টা করুন।  তাছাড়া পাতলা করে রান্না করা ডাল। সজনে ডাল, শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। যাদের ইউরিক এসিড বেড়ে...

ব্রণের সমস্যা ও করনীয়

ছবি
  ব্রণ কেনো হয় ও এর প্রতিকারঃ কৈশোর ও তারুণ্যে ছেলেমেয়েদের অনেকেরই ত্বকে ব্রণ দেখা দেয়। এতে কারও কারও ত্বকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হয়ে যায়। তবে ছেলেদের ব্রণের ধরন মেয়েদের চেয়ে ভিন্ন। ব্রণ কিঃ ব্রণ মূলত টিনএজ বা উঠতি বয়সের ত্বকের সমস্যা। এ সময় শরীরে হরমোনের কারণে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে, সঙ্গে ত্বকও পরিবর্তিত হয়। হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই ব্রণের সমস্যা হয়ে থাকে। ছেলেদের ত্বকে ব্রণের তীব্রতা একটু বেশি হয়। কারও কারও টিনএজ বয়স পেরিয়ে গেলেও  এ সমস্যা অনেক দিন থেকে যায়। কারণঃ ১. বাইরের ধুলাবালু ত্বকে জমে লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। এতে ব্রণের সৃষ্টি হয়। ২. অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার ও ভাজাপোড়া খেলে।  ৩. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করা। ৪. স্ট্রেস,যেমন অতিরিক্ত প্ররিশ্রম ৫. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়ার  ৬. কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে। ৭. মানহীন ও ক্ষতিকারক প্রসাধনী ব্যবহার। ৮. ত্বকের কোনো সংক্রমণ ও অতিরিক্ত খুশকি। ৯. ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের আর্দ্রতা হারিয়ে যায় এবং ব্রণ দেখা দেয়। করনীয়ঃ উ ঠতি বয়সে ব্রণ হতেই পারে। তাই চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তবে, ১. কোনোভাবেই ব্রণে হাত দেওয়া যাবে না। খো...

জলাতঙ্ক কি ও তার প্রতিরোধের উপায়

ছবি
জলাতঙ্ক কি ও তার  প্রতিরোধের উপায়।  জলাতঙ্ক  কে  হাইড্রোফোবিয়া নামেও ডাকা হয়। র‌্যাবিস ভাইরাস ঘটিত একটি মারাত্মক রোগ হলো জলাতঙ্ক।  জলাতঙ্ক নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করবো।  প্রথমত কুকুরের আঁচড় বা কামড়ের পর দেরি না করে নিকটস্থ হাসপাতাল বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে জলাতঙ্ক ও ধনুষ্টংকারের টিকা গ্রহণ করা উচিত। যেকোনো সময় পাগলা কুকুরের আক্রমণের শিকার হতে পারে যে কেউ। এ ছাড়া সাধারণ কুকুরকে বিরক্ত করলেও কামড় দিতে পারে। বছরের নির্দিষ্ট সময় কুকুরের আক্রমন বেড়ে যায় তাই কুকুরকে উত্ত্যক্ত না করে সতর্কভাবে চলাফেরা করা উচিত।  জলাতঙ্ক যেভাবে ছড়ায়: ১. কুকুর, শিয়াল,বানর, বেঁজি, বাদুড় ইত্যাদি র‍্যাবিস জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে।  ২.আক্রান্ত  প্রাণি মানুষকে কামড়ালে।  ৩.আক্রান্ত প্রাণির মুখের  লালা পুরোনো ক্ষতে বা দাঁত বসিয়ে দেওয়া ক্ষতের বা সামান্য আঁচড়ের মাধ্যমে রক্তের সংস্পর্শে এলে রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং জলাতঙ্ক রোগ সৃষ্টি হয়।  জলাতঙ্কের লক্ষণ:  ১.সন্দেহজনক প্রাণি কামড়ানোর ৯ থেকে ৯০ দিনের মাঝে জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা দেয়। ২. কারো শরীর...

নিম্ন রক্তচাপ এর লক্ষণ ও করনীয়

ছবি
 নিম্ন রক্তচাপ এর লক্ষণ ও করনীয়।  কিছু লক্ষণ থেকে আমরা খুব সহজেই লো ব্লাড প্রেসার আক্রান্ত কি না তা বুজতে পারি। সঠিক সময়ে রোগ চিহ্নিত হলে নিরাময় অনেক সহজ হয়। চলুন এবার লক্ষণগুলো জেনে নেই! লক্ষণঃ ১. মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভূত হওয়া। ২. বসা থেকে উঠে দাঁড়ালে হঠাৎ মাথা ঘুরে যাওয়া বা ভারসাম্যহীন হয়ে যাওয়া। ৩. মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। ৪. চোখে অন্ধকার বা ঝাপসা দেখা। ৫. শারীরিক বা মানসিক অবসাদ। ৬. খুব বেশী তৃষ্ণা অনুভূত হওয়া। ৭. ঘনঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া। ৮. হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া। ৯. প্রস্রাব কমে যাওয়া। ১০. অস্বাভাবিক দ্রুত হৃদ কম্পন হওয়া তাৎক্ষণিক  করণীয়: প্রেশার কমে গেলে দুশ্চিন্তা না করে প্রেসার মেপে, নিয়মগুলো অনুসরণ করলে তাৎক্ষণিক এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।   প্রেসার অতিরিক্ত কমে গেলে হাস্পাতালে নিতে হিবে।খাবার স্যালাইন  অথবা গ্লুকোজ গ্রহণ করতে হবে।এতে,নিম্ন রক্তচাপ দ্রুত সেরে যাবে। পরবর্তীতে এই খাবার গুলো চালিয়ে যেতে হবেঃ ১.দুধ ও ডিমঃ দুধ ও ডিমসহ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। মুরগীর চেয়ে হাঁসের ডিম এক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী। ২.কিশমিশঃ কিশমিশ রোগীদের জন্য ...

খিছুড়ির স্বাস্থ্য উপকারিকাতা

ছবি
  জেনে নেওয়া যাক খিচুড়ির পুষ্টিগুণ। চটজলদি ঘরে থাকা জিনিসেই বানিয়ে নিতে পারেন এমন সুস্বাদু খিচুড়ি চটজলদি ঘরে থাকা জিনিসেই বানিয়ে নিতে পারেন এমন সুস্বাদু খিছুড়ি। ১.খিচুড়িতে থাকে ভাতের শর্করা, ডালের প্রোটিন আর সবজির ভিটামিন। তাই সুষম পুষ্টিতে অনন্য এ খাবার।  ২.খিচুড়িতে ব্যবহৃত ডাল, যেমন মুগ বা মসুর বা ছোলা ফাইবারের ভালো উৎস। এতে ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, তামা, পটাশিয়ামসহ উপকারী অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে। ডাল প্রোটিনের চাহিদা মেটানোসহ হজমে সহায়তা করে।  ৩. খিচুড়িতে একই সঙ্গে শর্করা, ক্যালসিয়াম, আমিষ, ভিটামিনসহ অন্য বেশ কয়েকটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকায় একে শক্তিবর্ধক ও স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মুচমুচে সবজি আর বিন্নি চালের নরম খিচুড়ি মুচমুচে সবজি আর বিন্নি চালের নরম খিচুড়িছবি: প্রথম আলো ৪.খিচুড়ি প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের সমতা রক্ষা করে। এ জন্যই পরিপূর্ণ আহার বলা হয়। খিচুড়িতে যেহেতু ডাল থাকে, তাই এ ডালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য–আঁশ, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড। কম খরচে সব বয়সের, সব মানু...